অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে লোক ঠকানোর বিষয়টা নতুন কিছু নয়। তবে ভয়ের বিষয় যেটা হল এই ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাইবার ক্রাইমের ঘটনা এখন দিন দিন দেশে বাড়ছে। সম্প্রতি দিল্লির এক ব্যক্তি 29 লাখ টাকা হারিয়েছেন এই সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে। তিনি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আইফোন কিনতে গিয়েছিলেন। আর লোভে পড়ে কম দামে আইফোন কিনতে গিয়েই হারিয়েছেন এই বিপুল সংখ্যক টাকা। আপাতত তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন গোটা বিষয় নিয়ে।
91 Mobiles- এর তরফে জানানো হয়েছে বিকাশ কাতিয়ার নামক এক ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন নে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি পেজের অফার দেখে সেখানে তিনি আইফোন অর্ডার দেন। এই পেজে iPhone -এর উপর ব্যাপক ছাড় দিচ্ছিল। আর সকলেই জানেন iPhone -এর জনপ্রিয়তা কতটা। ফলে লোভে পড়ে সস্তায় iPhone কিনতে গিয়েই তিনি বিপদে পড়েন বলে জানান। কিছুদিন আগে তিনি ইনস্টাগ্রামের সেই পেজে iPhone অর্ডার দেন।
রিপোর্টে জানানো গিয়েছে, সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন তিনি ফোন অর্ডার দেওয়ার আগে এই পেজ অথেনটিক কিনা যাচাই করেন। আগে যাঁরা এখান দিয়ে কেনাকাটা করেছেন তাঁদের থেকে খোঁজ নেন, তাঁরা জানান হ্যাঁ, এই পেজ ভাল এখান থেকে ফোন কেনা যায়। তখন তিনি গত 6 তারিখ এই ফোন অর্ডার দেন। তিনি একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে কল করেন এই অর্ডার দেওয়ার জন্য।
অভিযোগকারী এরপর জানান ফোন ডেলিভারির আগে তাঁর থেকে 28,000 টাকা চাওয়া হয় যা কিন্তু ফোনের দামের 30%। এরপর বিভিন্ন নম্বর, ইত্যাদির থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং বিভিন্ন খাতে তাঁর থেকে টাকা নেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ জানান। তিনি জানিয়েছেন তিনি মোট 28,69,850 টাকা খুইয়েছেন। অর্থাৎ প্রায় 29 লাখ টাকা। আপাতত দিল্লি সাউথ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্টের সাইবার পুলিশ স্টেশনে FIR দায়ের করা হয়েছে।
1. সবার আগে পেজ বা ওয়েবসাইট অথেনটিক কিনা যাচাই করুন। বিশেষ করে যখন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক থেকে কিছু কিনছেন।
2. অনলাইনে টাকা দেওয়ার আগে যাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তাঁর পরিচয়, সত্যতা যাচাই করুন। সতর্ক হন।
3. যদি কোনও আনভেরিফায়েড পেজ বা মানুষের থেকে কোনও প্রোডাক্ট কেনেন তাহলে অনলাইন টাকা দেওয়ার বদলে চেষ্টা করুন ক্যাশ অন ডেলিভারি নেওয়ার।
4. অযথা ভুলভাল, সন্দেহজনক লিংক, ইত্যাদিতে ক্লিক করবেন না। বা অজানা অ্যাটাচমেন্ট ডাউনলোড করবেন না।
5. ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করুন লেনদেনের সময়।
6. লেনদেনের রেকর্ড রাখুন। পেমেন্ট করেছেন যে সেটার প্রমাণ রাখুন।
7. কারও সঙ্গে কখনও OTP, পিন, ইত্যাদি শেয়ার করবেন না।