এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম, বা হোম স্কুলের যুগে ওয়াই-ফাই এখন কানেকশন সবার বাড়িতেই রয়েছে। Wi-Fi হল এমন এক ধরণের ব্রডব্যান্ড সার্ভিস যার সাহায্যে একটি ইন্টারনেট কানেকশনকে অনেকে ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় আপনি যে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করছেন, তা হঠাৎ করেই স্লো হয়ে গেছে। আবার অনেকসময় যা দরকার তার চাইতে দ্বিগুন ইন্টারনেট বিল হাতে ধরিয়ে দেয় কোম্পানি। এমন যদি বারবার হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ওয়াই-ফাই কানেকশন অন্য কেউ ব্যবহার করছে।
আপনার বাড়ির ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা, তা সহজে বোঝার জন্য নজর রাখুন এই সমস্ত বিষয়ে-
আজকাল বেশ কিছু ওয়েবসাইট ইন্টারনেট কানেকশনের স্পিড চেক করার অ্যাক্সেস দেয়। সেখানে ইন্টারনেট কানেকশনের স্পিড চেক করে যদি দেখেন স্বাভাবিকের চাইতে কম রয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার বাড়ির ইন্টারনেট কানেকশন অন্য কেউ আপনার অজান্তে ব্যবহার করছে। তবে অনেকসময় বেশ কিছু নেটওয়ার্কে প্রভাইডারও স্লো- ইন্টারনেট স্পিড অফার করে।
আপনি যে সমস্ত কনটেন্ট সার্চ করছেন, তার ওপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন অ্যাড আপনাকে শো করা হয়। যদি এমন হয় যে কোনো কনটেন্ট আপনি নিজে কোনো দিনও সার্চ করেননি অথচ সেই কনটেন্টের অ্যাড আপনাকে শো করছে, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা আছে। আসলে অন্য কোনো ইউজার আপনার ইন্টারনেট কানেকশনকে ব্যবহার করার সময় একই IP Address ইউজ করে, ফলে তার ব্রাউজিং হিস্ট্রি অনুযায়ী অ্যাড , ঐ একই Wi-Fi কানেকশনে যতগুলো ডিভাইস পেয়ার করা রয়েছে সেগুলিতে শো করবে।
আপনি যদি পোস্টপেইড ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে থাকেন, এবং দেখেন যে যা পরিমাণ বিল আসার কথা তার চাইতে অনেক বেশিই আসছে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ব্রডব্যান্ড কানেকশনকে অন্য কেউ নিজের কাজে লাগাচ্ছে। অন্যদিকে প্রিপেইড ব্রডব্যান্ড সার্ভিস হলে আপনি যে পরিমাণ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন, তার চাইতে ইউসেজের পরিমাণ যদি বেশি দেখায় তাহলে বুঝতে হবে অন্য কেউ আপনার কানেকশন ব্যবহার করছে।
Wi-Fi রাউটারের সাথে কোন কোন ডিভাইস কানেক্টেড রয়েছে তা খুব সহজেই বোঝা যায়। কানেক্টেড ডিভাইসের লিস্টে যদি কোনো অচেনা ডিভাইসের নাম দেখেন, তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ওয়াই-ফাই কানেকশন চুরি করেছে অন্য কেউ।
দীর্ঘদিন ধরে অন্য কেউ Wi-Fi সিগন্যালকে চুরি করে ব্যবহার করলে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রাইমারি কানেকশনের ইন্টারনেট স্পিড কমে যেতে পারে। অথবা ডিভাইস হ্যাং করারও সম্ভাবনা রয়েছে।
Wi-Fi সিগন্যালকে চুরি হবার হাত থেকে বাঁচাতে দুটি কাজ করা যেতে পারে-
• প্রতি তিনদিন বা সাতদিন অন্তর Wi-Fi রাউটারের পাসওয়ার্ড বদলানো যেতে পারে ।
• রাউটারের সাথে কোন কোন ডিভাইস কানেক্টেড রয়েছে তা নিয়মিত চেক করা যেতে পারে। অচেনা ডিভাইসগুলিকে সেখান থেকে ব্লক করে দিলে অন্য কেউ Wi-Fi সিগন্যালের অ্যাক্সেস পাবে না।