আধুনিক গ্যাজেটের যুগে এখন প্রায় ঘরে ঘরে ব্যবহার হয় বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজিকাল গ্যাজেট। এই গ্যাজেটগুলি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে। গ্যাজেটের কল্যাণে অনেক কঠিন কাজই সহজ বলে মনে হয় মানুষের। তবে যেকোনো গ্যাজেট শুধু কিনে ব্যবহার করলেই হয়না। গ্যাজেটগুলি রাখতে হয় খুবই সাবধানে। যত্ন না নিলে খারাপ হয়ে যেতে পারে দামী ডিভাইসগুলি। তবে রোজকার ব্যস্ত জীবনে অনেকেরই খেয়াল থাকেনা বিষয়টি। অনেকে আবার জানেন না কীভাবে ব্যবহার করলে তার গ্রাজেটটি চলবে অনেক দিন পর্যন্ত। এখানে সহজ কয়েকটি টিপসের কথা জানানো হল, যা মনে রাখলে আপনার যন্ত্র চলবে বিন্দাস।
টেকনোলজি উন্নতির সাথে সাথে মানুষের গ্যাজেট ব্যবহারের ট্রেন্ডও পরিবর্তন হয়েছে অনেকটাই। আগে মানুষ হেডফোন হিসেবে ওয়্যারড( তার যুক্ত) হেডফোনই পছন্দ করতেন। তবে এখন বেশিরভাগ মানুষ বেছে নিয়েছেন ওয়্যারলেস ইয়ারবাড। এই ইয়ারবাডগুলি ফোনের সাথে তার যোগ করার ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছে। এখন গান শুনতে বা কথা বলতে যেমন খুশি, যখন খুশি মানুষ ব্যবহার করতে পারেন ইয়ারবাড। তবে রেগুলার ইউজের ফলে ইয়ারবাডের রঙ অনেক সময় ফেড হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন ময়েশ্চার বা গ্লিসারিন। যদি আপনি আপনার ইয়ারবাডে অল্প পরিমাণ ময়েশ্চার বা গ্লিসারিন ব্যবহার করেন তাহলে আগামী কয়েকবছরের জন্যে ইয়ারবাড ফেড হওয়ার চিন্তা করতে হবেনা।
আমাদের সবাইকেই অনেক সমগ বাড়ির বাইরে বিভিন্ন কাজে বেরোতে হয়। বাইরে থাকার সময় কোনো ভাবে যদি বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় তাহলেই বিপদ। সবার প্রথমেই মাথায় চিন্তা আসে স্মার্টফোন কীভাবে জল থেকে বাচানো যায়? যদিও বর্তমানে বড় বড় কোম্পানির ফোনগুলি ওয়াটার রেসিস্টেন্স এর সাথে লঞ্চ হয়। তবু ইলেকট্রনিক ডিভাইসে জল না লাগানোই উচিত। এই জন্যে বাইরে বেরোলে Ziplock বা এই জাতীয় ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ ব্যবহার করুন।
স্মার্টফোন এখন আর শুধুমাত্র ফোন কলিং এর জন্যে ব্যবহার হয়না, একথা প্রায় সকলেই জানেন। ভিডিও স্ট্রিমিং, গেম খেলা ইত্যাদি অনেক কাজেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে ছোট এই ডিভাইসটি। তবে ফোনের অডিও যদি ঠিকঠাক না চলে তবে গেম খেলা বা ভিডিও দেখা, দুই ক্ষেত্রেই সমস্যায় পরতে হয় মানুষকে। এর জন্য ফোনের স্পিকার সবসময় সাবধানে রাখতে হয়। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ফোনের স্পিকারের গ্রিলে যেনো নোংরা না জমে। গ্রিলে ধুলো বালি বা অন্য কিছু আটকে থাকলে ফোনের সাউন্ড একদম আসতে শোনা যায়, অনেক সময় শোনাও যায়না। তবে পরিষ্কার করবেন খুব সাবধানে।
Ziplock এর মাধ্যমে ফোন পুরোপুরি সিল করা থাকে। এই সময় যদি ফোন ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তখন ফোন আনলক করা দরকার। Ziplock করা থাকলে বায়োমেট্রিক কোফ রিড করা যায়না, এই জন্যে ব্যবহার করুন সিকিউরিটি কোড।
আপনার ফোন যদি Ziplock পাউচের ভিতর থাকে, তাহলে ভুলেও সেই অবস্থায় ফোন চার্জে দেবেন না। এভাবে চার্জ দিলে আপনার স্মার্টফোনের ক্ষতি হতে পারে। এবং খুব সময়ের মধ্যেই খারাপ হয়ে যেতে পারে আপনার ডিভাইস।
এখন অনেকেই স্মার্ট ওয়াচ বা ফিটনেস ব্যান্ড ব্যবহার করেন। তবে এই ছোট ডিভাইসটি যদি কোনো কভার ছাড়া সবসময় ব্যবহার করেন তাহলে দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে স্মার্টব্যান্ডটি। বর্তমানে অনেক ধরনের রিস্টব্যান্ড কভার পাওয়া যায়, এর মধ্যে একটি কিনে অবশ্যই ব্যবহার করুন আপনার স্মার্টওয়াচটি সুরক্ষিত রাখার জন্যে।
এখন প্রায় সব ফোনেই থাকে ওয়াটারপ্রুফ ফিচারের সাথে লঞ্চ হয়। তবে সেটি টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।সোশ্যাল মিডিয়াতে যতই ভিডিও দেখুন, নিজের ডিভাইসে ওয়াটার রেসিস্টেন্স টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই৷ এতে আপনি নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনতে পারেন।