আজকাল স্মার্টফোন যে কেবল দেখনদারি করা বা কথা বলার জন্য ব্যবহার করা হয় এমনটা নয়। ফোন দিয়ে তো আজকাল কত কাজ করা যায়। কত তথ্য জরুরি সেভ করে রাখা যায়, ছবি রাখা যায়, টাকা লেনদেন থেকে অনেক কিছুই করা যায় এই মুঠোফোনের সাহায্যে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আমরা যতই দারুন ফিচার, নামী ব্র্যান্ডের পিছনের ছুটি না কেন পৃথিবীতে এমন কিছু ফোন আছে যেগুলো ডিজাইন থেকে রং, মেটিরিয়াল থেকে ফিচারের নিরিখে বেশ আলাদা। পৃথিবীতে এমন কিছু ইউনিক ফোন আছে। আপনিও যদি আপনার দখলে সেরা ইউনিক ফোন রাখতে চান তাহলে দেখুন সেগুলোর হদিস।
এই ফোনটি একদম সিল্ড ডিভাইস একটি। এটি একটি চাইনিজ ব্র্যান্ডের ফোন। আজকাল অনেক ফোনেই ধুলো এবং জল প্রতিরোধ করার জন্য IP68 রেটিং দেওয়া থাকে। কিন্তু এই ফোন যেহেতু সিল্ড অবস্থাতেই আসে তাই এটার এসবের প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই ফোনটা এখনও বাজারে আসেনি। এটি একটি কোম্পানির সব থেকে আকর্ষণীয় মডেল হতে পারে। এই ফোনে কোনও গর্ত বা ফুটো নেই। এই ফোনের কোথাও এতটুকু গ্যাপ নেই। এটি কেবল মাত্র ওয়্যারলেস চার্জিং এর সাহায্যে চার্জ দেওয়া যায়। এখানে স্পিকার হোল নেই পর্যন্ত। ফোনের থেকে শব্দ আসে এক অদ্ভুত স্ক্রিন সাউন্ড টেকনোলজির সাহায্যে। এখানে E-sim কাজ করে। এর মধ্যে সমস্ত উন্নতমানের টেকনোলজি আছে তাও নন পোরাস মডেল হিসেবে। তবে যতই এই ফোনটিকে নিখুঁত মনে হোক না কেন, এখানে কিন্তু আদতে অনেক গলদ আছে। টেকনিক্যাল কারণে এটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দেয়, সঙ্গে এটির ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট অনেক বেশি। 2019 সালে তৈরি হয়েছে এই ফোন, তখনই লঞ্চ করলেও এখনও এটি বাজারে আসেনি।
এখন যদি আপনি Xiaomi Mall -এ যান এবার Xiaomi Mi Mix Alpha -এর খোঁজ করতে পারেন। এটি একটি ইউনিক ফোন যার দাম 19,999 yuan। এটি এখনও অফিসিয়ালি লঞ্চ করেনি। তেমনই ঝুলি থেকেই Xiaomi এই ফোনটিকে বাদ দেয়নি। Samsung -এর তার প্রথম Folding ফোন 2019 সালে এনেছিল। তবে তার আগেও বাজারে ফোল্ডিং ফোন মিলত, কিন্তু সেগুলো এত জনপ্রিয় ছিল না। Xiaomi সেই বছর Folding ফোন লঞ্চ করেনি কিন্তু একটি অদ্ভুত ফোন শোকেস করেছিল। এই ফোনের ডান বা বাঁদিকে কোনও বেজেল নেই, শুধু উপরে আর নিচে পাতলা বর্ডার আছে। ফোনের স্ক্রিনটাই দুদিকে মুড়ে রাখা হয়েছে। স্ক্রিন দিয়েই রিয়ার প্যানেল কভার করা হয়েছে কেবলমাত্র একটি পাতলা সিরামিক স্ট্রিপ রেখে। অর্থাৎ আপনি যখন ফোন ধরবেন আপনি তখন এটির ডিসপ্লে টাচ করবেন। এখানে 100 মেগাপিক্সেলের সেন্সর আছে।
এই সাউথ কোরিয়ান কোম্পানির তরফে একাধিক আইকনিক প্রোডাক্ট বাজারে আনা হয়েছিল। একটা সময় এই কোম্পানি বহু ফোন বাজারে আনলেও এখন আর এটি মোবাইল দুনিয়ায় প্রতিযোগিতা করে না। তবে শেষের দিকে এই কোম্পানি Lg Wing নামক একটি ফোন তৈরি করেছিল। এটি 2020 -এর শেষ দিকে লঞ্চ হয়েছিল। এখানে রোটেটিং স্ক্রিন আছে। এই ফোন তখন লঞ্চ করা হয় যখন Xiaomi Mix Alpha এনেছিল আর Huawei foldable ফোন বাজারে আনে। এখানে স্প্লিট ডিজাইন আছে। এই ফোনের উপরের অংশটি ফালক্রাম হিসেবে কাজ করে। এর মেইন স্ক্রিন 90 ডিগ্রি ঘুরতে পারে। নিচে থাকে সেকেন্ডারি স্ক্রিন। অর্থাৎ উপরের দিকটা ঘোরালে এই ফোন T আকার নেবে। এই ফোনের ওজন মাত্র 260 গ্রাম, অর্থাৎ এটি Samsung Neo 20 Ultra -এর তুলনায় 52 গ্রাম হালকা।
এই ব্র্যান্ডটিকে কিং অফ আফ্রিকা বলা হয়ে থাকে। যদিও এটা অন্যান্য বড় ব্র্যান্ডের তুলনায় অত বিখ্যাত নয়। তবে এই কোম্পানির কাছে কিন্তু একাধিক ইউনিক ফোন আছে। এখানে Retractable 50 মেগাপিক্সেলের একটি পোট্রেট ক্যামেরা আছে। এই ফিচার কিন্তু এখনও অন্যান্য ফোনে তেমন দেখা যায়নি।
মোবাইল গেমিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্ল্যাক শার্ক থেকে রেড ম্যাজিকের মতো ম্যানুফ্যাকচারাররা সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় Lenovo Legion Y90 কিন্তু অনেক ভাল। এই ফোনের ক্যামেরা আছে তাঁর নিচের দিকে। Huawei Mate 50, OnePlus 8 Pro ইত্যাদি ফোনের মতো এর ক্যামেরা মাঝে নেই। আবার অন্যান্য ফোনের মতো এর ক্যামেরা সাইডেও নয়। আছে নিচের দিকে। এটি একটি গেমিং ফোন যেখানে প্লেয়াররা দারুন এক্সপিরিয়েন্স পাবেন। যাঁদের ফোন ঘুরিয়ে ধীরে গেম খেলেন তাঁদের জন্য এটা আদর্শ ফোন। এই ফোনের ডিজাইন যে কেবল ইউনিক সেটা নয়, এটার ইনোভেশন বেশ ইউনিক।