Oneplus 11 Vs iQoo 11: ক্যামেরা থেকে প্রসেসর পর্যন্ত, কোন ফ্ল্যাগশিপ ফোন বেশি শক্তিশালী?

Updated on 10-Feb-2023
HIGHLIGHTS

Oneplus 11 5G vs iQoo 11 5G ফোনে Snapdragon 8 Gen 2 প্রসেসর রয়েছে

Oneplus 11 vs iQoo 11 দুই স্মার্টফোনের মধ্যেই তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে

Oneplus 11 vs iQoo 11 দুটি স্মার্টফোনের দামও প্রায় একই

OnePlus তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী স্মার্টফোন Oneplus 11 5G ভারতে 7 ফেব্রুয়ারি লঞ্চ করেছে। এই ফোনটি 16GB RAM এবং ফাস্ট অ্যান্ড্রয়েড প্রসেসর Snapdragon 8 Gen 2 সহ আনা হয়েছে। তবে IQOO একই প্রসেসর সহ তার লেটেস্ট ফোন iQOO 11 5G লঞ্চ করেছে। এই ফোনের সাথে 120 ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট পাওয়া যাবে। দুটি স্মার্টফোনের দামও প্রায় একই। 

এমন অবস্থায় দুই স্মার্টফোনের মধ্যেই তুমুল প্রতিযোগিতা। আপনিও যদি একটি নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন নেওয়ার কথা ভাবছেন এবং এই দুটি ফোনের মধ্যে কোনটা নেবেন ভাবছেন তবে এই রিপোর্ট আপনার জন্য। এই রিপোর্ট আমরা আপনাকে Oneplus 11 Vs iQoo 11 সম্পর্কে বলবো।

Oneplus 11 vs iQoo 11: ডিসপ্লে

iQoo 11 5G ফোনে একটি 6.78-ইঞ্চি E6 AMOLED কার্ভড ডিসপ্লে দেওয়া, যার রিফ্রেশ রেট 144 Hz এবং রেজোলিউশন 2K। ডিসপ্লে LTPO 4.0, 20:9 অ্যাসপেক্ট রেশিও, HDR10+, 1.07 বিলিয়ন কালার, DCI-P3 কালার গেমাট, 1800 nits পর্যন্ত ব্রাইটনেস এবং 1440Hz PWM ডিমিং সাপোর্ট করে।

OnePlus 11 5G ফোনে 6.7-ইঞ্চি 2K রেজোলিউশন AMOLED ডিসপ্লে সহ আনা হয়েছে, যা 120Hz রিফ্রেশ রেট সহ আসে। ডিসপ্লে LTPO 3.0, (1,440×3,216 পিক্সেল) রেজোলিউশন, 1,000Hz পর্যন্ত টাচ স্যাম্পলিং রেট, কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিকটাস সাপোর্ট করে।

Oneplus 11 vs iQoo 11: স্পেসিফিকেশন এবং প্রসেসর

iQoo 11 এর সাথে Qualcomm Snapdragon 8 Gen 2 প্রসেসর এবং 16GB পর্যন্ত LPDDR5X RAM এর সাথে 256GB পর্যন্ত স্টোরেজ সাপোর্ট পাওয়া যায়। ফোনটি Android 13 ভিত্তিক Funtouch OS কাস্টম স্কিন সহ আসে। কোম্পানি এর সাথে তিন বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট দিতে যাচ্ছে।

Oneplus 11 vs iQoo 11: ক্যামেরা

iQoo 11 5G ফোনে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে, যার মধ্যে f/1.88 অ্যাপারচার সহ 50 মেগাপিক্সেল Samsung GN5 সেন্সর সহ প্রাইমারি ক্যামেরা রয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS) এর জন্য সাপোর্ট রয়েছে। ফোনে একটি সেকেন্ডারি ক্যামেরা f/2.2 অ্যাপারচার সহ একটি 8-মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড সেন্সর এবং তৃতীয় লেন্স f/2.46 অ্যাপারচার সহ একটি 13-মেগাপিক্সেল 2x পোর্ট্রেট-টেলিফোটো সেন্সর রয়েছে। ফোনে একটি 16MP সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।

OnePlus 11 5G Hasselblad-এর ব্র্যান্ডিং সহ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ফোনের প্রাইমারি লেন্স হল একটি 50-মেগাপিক্সেল Sony IMX890 সেন্সর, সেকেন্ডারি লেন্স হল একটি 32-মেগাপিক্সেল Sony IMX709 টেলিফটো পোর্ট্রেট লেন্স, এবং তৃতীয় লেন্স হল একটি 48-মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড-এঙ্গেল Sony INSs1890। সেলফি এবং ভিডিও কলের জন্য ফোনে রয়েছে একটি 16-মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।

Oneplus 11 Vs iQoo 11: ব্যাটারি

iQOO 11 5G ফোনে রয়েছে 5,000mAh ব্যাটারি এবং 120 ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের সাপোর্ট রয়েছে। ফোনে কানেক্টিভিটির জন্য, 5G, ডুয়াল 4G VoLTE, Wi-Fi 6, ব্লুটুথ 5.3, GPS/GLONASS, USB Type-C পোর্ট এবং NFC দেওয়া। ফোনে সিকিউরিটির জন্য একটি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও দেওয়া হয়েছে।

OnePlus 11 5G ফোনের কথা যদি বলি তবে, এতে 5000 mAh ব্যাটারি এবং 100 ওয়াট সুপারউক ফাস্ট চার্জিংয়ের সাপোর্ট রয়েছে। দাবি অনুযায়ী, ফোনটি 25 মিনিটের মধ্যে ফুল চার্জ হয়ে যায়। কানেক্টিভিটির জন্য, ফোনে 5G, 4G, Wi-Fi 7, ব্লুটুথ 5.3, GPS/GLONASS, USB Type-C পোর্ট এবং NFC-এর মতো ফিচার রয়েছে। এর সাথে একটি ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও দেওয়া।

Oneplus 11 Vs iQoo 11: দাম

iQOO 11 5G-এর 8GB + 256GB ভ্যারিয়্যান্টের জন্য 59,999 টাকা এবং 16GB + 256GB ভ্যারিয়্যান্টের জন্য 64,999 টাকা। ফোনটি আলফা এবং লিজেন্ড দুটি কালার অপশনে উপলব্ধ।

OnePlus 11 5G টাইটান ব্ল্যাক এবং ইন্টারনাল গ্রিন কালার অপশনে আসে। ফোনের 8GB সহ 128GB স্টোরেজের দাম 56,999 টাকা এবং 16GB সহ 256GB স্টোরেজের 61,999 টাকা রাখা হয়েছে। ফোনটি 14 ফেব্রুয়ারি Flipkart থেকে কেনা যাবে।

মোট, দুটি ফোনেই দুর্দান্ত ফিচার অফার করা হয়েছে। যদি আপনি ডিসপ্লে এবং ফাস্ট চার্জিং সহ একটি ভাল ফোন চান, তবে আপনি iQoo 11 ফোনটি কে প্রথম বিকল্প হিসাবে দেখতে পারেন। পাশাপাশি, ক্যামেরা এবং প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে OnePlus এগিয়ে রয়েছে iQOO 11 থেকে। ওয়ানপ্লাস এর সাথে আপনি বেশি ভাল ইউজার ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। আর কোম্পানি ফোনে 4 বছরের Android আপডেটও দিতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে ফোনে দীর্ঘসময় অবদি কোনো সিকিউরিটির সমস্যা থাকবে না।

Joyeeta Bhattacharya

Joyeeta Bhattacharya fell in love with technology at an early age, believing that technology was the secret to unlock India's limitless potential. She is currently Assistant Editor - Bangla at Digit.

Connect On :