স্মার্টফোনে দুটো অপশন নিশ্চয় লক্ষ্য করে থাকবেন। একটি হল Reboot এবং অন্যটি হল Restart। অনেকেই আমরা মাঝে মধ্যেই ফোন রিস্টার্ট করি, বিশেষ করে যখন সিগন্যালের কোনও সমস্যা হয় বা ফোন হ্যাং করে যায়। অনেকেই আবার সপ্তাহে কী মাসে একবার ফোন রিবুট করান। কিন্তু এই যে সুবিধাগুলো ফোনে থাকে সেগুলো কি আমরা সবাই বুঝে ব্যবহার করি? বা সেগুলোর পার্থক্য জানি? অনেকেই ভাবেন এই দুটো জিনিস বোধহয় এক। কিন্তু না, সেটা আদতে নয়। দুটোর মধ্যে ফারাক আছে। কী সেগুলো? দেখুন।
আপনার ফোনের হার্ডওয়্যার যখন অচল হয় বা কাজ করছে না এমন অবস্থায় থাকে তখন সেটাকে রিবুট করলে সেটা আবার সচল হয়ে যায়। শূন্য থেকে শুরু করাকে রিবুট বলে। এটা মূলত তখন করা উচিত যখন আপনার ফোন হ্যাং করে। কিংবা কোনও অ্যাপস যদি ঠিক মতো কাজ না করে। তবে কেবল ফোন নয়। আপনার কম্পিউটার থেকে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট থেকে রাউটার সব কিছুর ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
ইংরেজি থেকেই বোঝা যাচ্ছে, পুনরায় চালু করা। অর্থাৎ আপনার ফোনটিকে বন্ধ করে আবার চালু করাকে Restart বলে। এটা মূলত সফটওয়্যার আপগ্রেড ইত্যাদির ক্ষেত্রে লাগে। আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে যখন সফটওয়্যার আপডেট হয় দেখবেন তখনও সেটা রিস্টার্ট হয়ে যায়।
এটার সাহায্যে ফোনে কোনও জাঙ্ক ফাইল থাকলে সেটাকে সরিয়ে দেওয়া যায়। গোটা সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে রিবুট করলে সেটা হার্ডওয়্যারকে কোনও এফেক্ট করে না। ডেটা মোছার সম্ভাবনা থাকে না রিবুট করলে, একই সঙ্গে ডিলিট হয় না জাঙ্ক ফাইল।
রিস্টার্ট অনেক সহজে হয়ে যায়। আর রিবুটের পদ্ধতিটা দ্রুত হয়। আপনি যদি আপনার ফোন রিস্টার্ট করেন দেখবেন সেটা করার পর আপনার ফোন আগের তুলনায় ভাল ভাবে চলছে এটার প্রধান কারণ হল এটা সিস্টেমে থাকা সমস্ত জাঙ্ক ফাইল সরিয়ে তো দেয়ই সঙ্গে মূল প্রোগ্রামগুলো মুছে ফেলে।
রিবুট করলে গোটা বিষয়টা অনেক ধাপ এগিয়ে যায়। আর রিস্টার্ট করার অর্থ হল ফোনটা বন্ধ করে আবার চালু করা। বন্ধ করে খোলার সময় আপনার ফোনের সব সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করা হয়। লোড করা হয় ডেটা। রিবুটের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। রিবুট কিছু ধাপ এড়িয়ে অনেকটা এগিয়ে যায় এবং সোজাসুজি এটি সফটওয়্যার ইন্টারফেসে ঢুকে যায়। সেটা শক্তির অপচয় আটকায়।
ফলে ফোনের জন্য যেমন রিস্টার্ট জরুরি তেমনই রিবুট করাও। কিন্তু কখন কোনটা করতে হবে সেটা বুঝে করতে হবে।