Apple এর ক্লোজড অপারেটিং সিস্টেম যে অ্যান্ড্রয়েডের ওপেন অপারেটিং সিস্টেমের থেকে অনেক ভাল সেটা আর নতুন করে বলার বিষয় নয়। দুটোর তুলনা টানা হলে, অ্যান্ড্রয়েডের (Android) ওপেন অপারেটিং সিস্টেম গো হারান হেরে বসে থাকবে। অ্যাপেল (Apple) গ্রাহকদের তাঁদের ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করতে বাধ্য করতে পারে কারণ একটি মাত্র ফোনের মডেল আছে। কিন্তু তাই বলে ভাববেন না আপনি সুরক্ষিত! হ্যাকাররা কিন্তু এখন আইফোন (iPhone) হ্যাক করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার উপায় বের করে ফেলেছে।
• হোটেল বা মেসে থাকলে ভুলেও ফোনে ফেস আইডি ব্যবহার করবেন না, এতে আপনি যখন ঘুমাবেন তখন কেউ আপনার মুখের সামনে ফোন ধরলেই সেটা খুলে ফেলতে পারবে। এবং তখন সহজেই তারা আপনার তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে।
• স্টকারওয়্যার (Stalkerware) কিন্তু আপনার ফোনের জিপিএস লোকেশন সহ কল লগ, মেসেজ সব দেখে নিতে পারে সহজেই। কোনও সাধারণ দেখতে অ্যাপও কিন্তু ক্ষতিকর হতে পারে, তার আড়ালেই লুকিয়ে থাকে হ্যাকাররা।
• কোনও অজানা ওয়েবসাইট থেকে কিছু ডাউনলোড করবেন না, বা কোনও অজানা লিংক ক্লিক করবেন না। এতেও কিন্তু আপনার ফোন হ্যাক হতে পারে। কারণ যেটা ডাউনলোড করবেন তার সঙ্গে ম্যালওয়্যারও ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে।
• প্লে স্টোরের বদলে অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। এক্ষেত্রে নকল অ্যাপ ডাউনলোড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ভুয়ো অ্যাপ মানেই বিপদ!
• সিম সোয়াপিং পদ্ধতিতেও হ্যাকাররা আপনার যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এবং আপনার নামের সিম তারা তখন খারাপ বা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করলে তার দায় আপনার উপরেই এসে পড়বে।
• ব্লুটুথ সবসময় খোলা রাখবেন না। ব্লুটুথ সবসময় খোলা থাকলে হ্যাকাররা সেটা ব্যবহার করেও আপনার ফোন হ্যাক করতে পারে।
*যদি আচমকাই ফোন স্লো হয়ে যায় সাবধান হন! এটা কিন্তু একটা লক্ষণ।
*নেট প্যাক দ্রুত ফুরিয়ে গেলেও সাবধান হন।
*ফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল ম্যালওয়্যার অ্যাটাক।
*আপনি কিছু পোস্ট করেননি অথচ দেখলেন কিছু পোস্ট হয়েছে, এর অর্থ আপনার ফোন হ্যাক করা হয়েছে।
• সফটওয়্যার আপডেট এলে অবশ্যই সেটা করে নেবেন।
• শক্তিশালী এবং খটমট পাসওয়ার্ড দিন।
• Two factor authentication আছে যে অ্যাপে সেগুলো ব্যবহার করুন বা চালু করুন থাকলে।
• অজানা কোনও লিংক খুলবেন না, সেটা যেই পাঠাক না কেন!
• অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করুন ফোন থেকে ল্যাপটপ সহ সমস্ত ডিভাইসে।