জিমেইল কোনো মেইলকে পাঠানোর পর ‘Undo’ করতে পাঁচ সেকেন্ড মতন সময় দেয়
ইমেইল অ্যাড্রেসের সঙ্গে প্লাস সাইন জুড়ে দিয়ে তৈরি করা যায় বিকল্প অ্যাড্রেস
খুব দ্রুত ইমেইল পাঠাতে বা বিভিন্ন ড্রাফ্ট ডিলিট করতে ব্যবহার করা যেতে পারে কীবোর্ডে বিভিন্ন শর্টকার্ট
অফিসিয়াল মেইল হোক বা পরীক্ষার খাতার পিডিএফ, এই ওয়ার্কফ্রম হোমের যুগে ইমেইল হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠানোর প্রধান মাধ্যম। গুগল এলএলসি দ্বারা নিবেদিত জিমেইল অ্যাপটি বা ওয়েবসাইটটি ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কাছে সর্বাধিক ভরসাযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জিমেইল অ্যাপটির ব্যবহার আমাদের প্রায় সকলের জানা। তবে এর বিশেষ কিছু গোপন ফিচার ও ট্রিকস রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করলে আপনি সহজেই নিজের ইনবক্স ও ইমেইল গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এই সহজ পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে নিজের চাহিদা অনুযায়ী মেলবক্সকে অবাঞ্ছিত ও অপ্রয়োজনীয় ইমেইলগুলির হাত থেকে রেহাই দেওয়া সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক এই সমস্ত বিশেষ ফিচারগুলি সম্বন্ধে-
‘Undo’ ফিচারের ব্যবহার-
অনেকসময়ই দেখা যায় তাড়াহুড়োতে মেইল পাঠাতে গিয়ে আমরা বেশ কিছু ভুল করে ফেলি। প্রথম দেখায় হয়তো চোখে পড়ে না সেগুলি। তবে পরে চোখে পড়লে পুনরায় মেইল পাঠানো ছাড়া অন্য কোনো অপশন থাকে না। সাধারণত জিমেইল কোনো মেইলকে পাঠানোর পর ‘Undo’ করতে পাঁচ সেকেন্ড মতন সময় দেয়। তবে জিমেইলের সেটিংস অপশনে গিয়ে আপনি নিজের প্রয়োজনমতো সর্বাধিক ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনো মেইল পাঠাতে সময় লেগে যেতে পারে অনেকটাই বেশি।
অবাঞ্চিত ইমেইল ব্লক-
বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী ইমেইল আমাদের মেইলবক্সকে পূর্ণ করে দেয়। এর ফলে অনেকসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ইমেইলগুলি খুঁজে পেতে বেশ সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে আপনি এই সমস্ত অযাচিত ইমেইলগুলিকে ব্লক করে রাখতে পারেন। ব্লক করা ইমেইল আইডিগুলি থেকে পুনরায় নতুন মেইল এলে তা সরাসরি পৌঁছে যাবে স্প্যামবক্সে।
ইমেইলের গোপনীয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে-
অনেকসময়ই বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের ফলে একাধিক মেইল এসে জমা হয় ইনবক্সে। সেক্ষেত্রে নিজের অফিসিয়াল ইমেইল আইডির গোপনীয়তা বাড়াতে বিশেষ ফিচার অবলম্বন করতে পারেন। নিজের ইমেইল অ্যাড্রেসের সঙ্গে প্লাস সাইন জুড়ে দিয়ে তৈরি করা যায় বিকল্প অ্যাড্রেস। যার ফলে নতুন মেলবক্সের সমস্ত মেইল চলে আসবে আপনার মেইলবক্সে।
‘Confidential mode’-এর ব্যবহার-
কোনো গুরুত্বপূর্ণ মেইলের বিশেষ গোপনীয়তা বজায় রাখতে ব্যবহার করা যেতে পারে Confidential mode। এক্ষেত্রে কোনো ইমেইল কাউকে পাঠাতে সেন্ড অপশনে ক্লিক করার আগে লক আইকনে ক্লিক করে চালু করতে হবে ‘Confidential mode’। যার ফলে পাঠানো মেইলটির এক্সপায়ারি ডেট তৈরি হবে। রিসিভার কোনোভাবেই গুরুত্বপূর্ণ মেইলটিকে ফরোয়ার্ড, প্রিন্ট বা কপি করতে পারবেন না।
কীবোর্ডের ক্ষেত্রে শর্টকার্ট ব্যবহার-
খুব দ্রুত ইমেইল পাঠাতে বা বিভিন্ন ড্রাফ্ট ডিলিট করতে ব্যবহার করা যেতে পারে কীবোর্ডে বিভিন্ন শর্টকার্ট। যেমন Ctrl+Enter -এ ক্লিক করলে খুব তাড়াতাড়ি পাঠানো যাবে কোনো মেইল। Ctrl+D তে ক্লিক করলে ডিলিট করা যাবে পুরনো সমস্ত ড্রাফট। সিসি প্রাপক ও বিসিসি প্রাপকের তালিকাও চলে আসবে Ctrl এবং shift ক্লিক করে C প্রেস করলে।
Follow Us
