আমরা এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে প্রজুক্তির সংজ্ঞা। আর প্রায় প্রতিদিন যত স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, স্মার্টটিভি, ক্যামেরা বা অন্য জিনিস লঞ্চ হয়ে চলেছে তত দ্রুত বদলাচ্ছে তা। আর এসবই আমরা প্রায় প্রতিদিনের খবরে জানতে পারি। আর এখন এই সব কেনাও আমাদের কাছে সহজ হয়েছে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তবে এক ছাদের তলায় অফলাইনে এই সব জিনিস এক সঙ্গে পেলে কেমন হয়? অবাক হচ্ছেন তো?ভাবছেন তাও কী করে সম্ভব?
আসলে এখননা এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছিল বেশ কয়েকবছর আগে শহর কলকাতায়। কলকাতার চাঁদনি চকে বহুকাল ধরেই ইলেক্ট্রনিক জিনিসের একটি বাজার ছিল। কিন্তু সেই বাজারে সব জিনিস পাওয়া গেলেও সবাই যে সেখানে সব সময় যেতেন তা নয়, আর তার কারন ছিল বিভিন্ন। আর সেই বাজারেই 2007 সালের অক্টোবড় মাসে সবার জন্য ওপেন হয় ‘ই-মল’। হ্যাঁ এখন শহর কলকাতার সবাই জানেন চেনেন আর কোন না কোন সময়ে সেখান থেকে কোন জিনিস কেনেনি এমন মানুষ কলকাতায় কমই। আর এই মলের ভেতর কেমন দোকান আছে? তা কতটাই বা আপডেটে আর কী ভেবে কেন তৈরি করা হয় এই মল তা জানতেই আমরা সম্প্রতি সেখানে পৌঁছে যাই। কথা হয় সেই মলের ম্যানেজারের সঙ্গেও। তবে আসুন দেখা যাক ‘ই-মল’য়ের সাতকাহন।
Paytm Deals: আজকে এই হেডফোন গুলি ডিস্কাউন্টের সঙ্গে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে
এই ইমলের ম্যানেজার বিজয় কুমার পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানলাম যে আসলে আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে এই মল তৈরির পেছনে প্রধান কারন ছিল চাঁদনী চকের অসংগঠিত ইলেক্ট্রনিক বাজারকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতে। 2007 সালে পথ চলা শুরু হয় তবে যখন ই-কমার্স বাজারে জিনিস কেনার প্রবনতা বারে তখন প্রথম তার প্রভাব পরে এখানেও। যদিও মল ম্যানেজারের কথায় ধীরে ধীরে সেই সমস্যা থেকে তারা বেড়িয়ে আসতে পারেন। যদিও মোবাইল ফোনের বাজারে কিছুটা প্রভাব এখনও চোখে পড়ার মতন। তবে সেই ল্যাপটপ বা ফ্রিজের মতন জিনিসের মাধ্যমে সেই সমস্যার সুরাহা অনেকটাই হয়েছে।
এই তিনতলার এই মলে এই মুহূর্তে প্রায় শতাধীক দোকান আছে। এর মধ্যে যেমন আছে বেশ কিছু ব্র্যান্ডেড শোরুম তেমনি আছে বেশ কিছু এমনি ইলেক্ট্রনিক দোকান। সুধু যে জিনিস কেনা তা নয় এখানে গ্রাহকরা নিজেদের খারাপ হওয়া গ্যাজেট সারাতে ও পারবেন। মানে এক ছাদের তলায় আপনার দরকারি ইলেক্ট্রনিক জিনিস কেনার সঙ্গে সঙ্গে খারাপ গ্যাজেট সারানও সম্ভব।
তবে বছর দশেক আগে কেন সাধারন মল তৈরি না করে ইমল করার কথা ভাবেন? আমাদের এই প্রশ্নের উত্তরে মল ম্যানেজার জানান, “ এই অঞ্চলে ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসের বাজার ছিল আর এখানে সেই ক্রেতাও আসতেন। এখানে এমনি মল করার থেকে আমরা ই-মল করার কথা ভাবি এ জন্যই। আর তার সঙ্গে এখানে থাকা বাজারে কে এর মাধ্যমে একত্রিত করাও হবে এই ভাবনা থেকেই এখানে ই-মল তৈরি করা হয়”।
তিনি আরও জানান যে, “ ভারতে এই ধরনের মানে শুধু মাত্র ই-মল আর নেই আর আমরা এই মল তৈরির অনুপ্রেরনা পাই সিঙ্গাপুরের বড় বড় ই-মল গুলি থেকে অনুপ্রেরনাও আছে এই মল তৈরির ক্ষেত্রে”।
আমাদের YouTubeয়ে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন
আমাদের Instagramয়ে ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন
এখন যদিও মোবাইলের বাজারে কিছুটা হলেও প্রভাব এখানেও পড়েছে তাও মোবাইল ক্রেতার সংখ্যাও সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই দিক দিয়েও কিছুটা হলেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই ই-মল। আর বিশেষ সময়ে মানে বিভিন্ন উতসবের সময়ে এখানে অবস্থিত বিভিন্ন দোকান নানা রকমের অফারও দিয়ে থাকে গ্রাহকদের। আর এই সব মিলিয়ে শহর কলকাতার বুকে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট প্রেমীদের কাছে স্বমহিমার বিরাজমান চাঁদনির ই-মল।