কোনো জিনিষ একটানা বেশি দিন ব্যবহার করতে থাকলে, একটা সময় পর সেটির প্রতি আমদের ইন্টারেস্ট হারিয়ে যায়, ক্লান্ত হয়ে যাই একই জিনিষ ব্যবহার করে করে। বর্তমানে অনলাইন অ্যাপগুলির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ WhatsApp, বছরের পর বছর ধরে বিশ্ব জুড়ে মানুষদের সার্ভিস দিচ্ছে। বিভিন্ন বয়সি মানুষ, তাদের বন্ধু,পরিবার বা অন্যান্য মানুষদের সাথে খুব সহজেই কানেক্ট করতে পারে Meta কোম্পানির এই মেসেজিং অ্যাপটির সাহায্যে। তবুও, একটানা এতো বছর WhatsApp ব্যবহার করার পর অনেকেরই মন চায় নতুন কিছু ট্রাই করতে। আবার, এমন অনেকেই আছেন যাদের WhatsApp এ কানেক্টই করা যায়না। তাদের অন্য অ্যাপেই কানেক্ট করতে হয়। এখানে বেশ কিছু আকর্ষণীয় মেসেজিং অ্যাপের কথা জানানো হল, যা আপনার জন্য WhatsApp এর অল্টারনেটিভ অপশন হতে পারে।
WhatsApp যখন প্রাইভেসি বিতর্কে জড়িয়েছিল, তখন Signal ছিল সবচেয়ে আলোচিত অ্যাপ। WhatsApp এর প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে প্রোটেস্ট এর জন্য লাখ লাখ মানুষ এই সময় WhatsApp ছেড়ে Signal ইউজ করা শুরু করেছিল। Signal বেশ কয়েকটি সিকিউরিটি ফিচারের সাথে আসে, যেমন সেল্ফ-ডেসট্রাক্টিং মেসেজ ফিচার যা রিসেন্টলি WhatsApp ও চালু করেছে। এছাড়াও, Signal একটি 'Screen Security' ফিচার অফার করে যা অন্য ব্যাক্তিকে আপনার মেসেজের স্ক্রিনশট নেওয়া থেকে বাধা দেয়। এছাড়াও, যেখানে WhatsApp এ 8 জন এক্টিভ পার্টিসিপেন্ট সাপোর্ট করে সেখানে Signal 40 জন এক্টিভ পার্টিসিপেন্ট সাপোর্ট করে।
অনেকেই Telegram অ্যাপটিকে শুধু পাইরেটেড সিনেমা এবং শো ডাউনলোড করার অ্যাপ হিসাবে জানে। কিন্তু Telegram আরও অসংখ্য ভালো ভালো ফিচারের সুবিধা দেয়। যেমন- আপনি 1 লাখ পর্যন্ত মানুষ নিয়ে, পাবলিক চ্যানেল এবং আরও অনেক কিছু ফিচারের সাথে একটি বিশাল গ্রুপ বানাতে পারবেন। Telegram এর সিকিউরিটি ফিচারটি আরও শক্তিশালি। গ্রাহকদের চ্যাট আরও সুরক্ষিত করতে অ্যাপটি একটি ট্রিপল-লেয়ার এনক্রিপশন ফিচার প্রোভাইড করে।
Kik একটি প্রাচীন(ancient) মেসেজিং অ্যাপ, যেটি এক্টিভ করার জন্য আপনার ফোন নম্বরেরও প্রয়োজন হয় না। শুধু আপনার ইমেল আইডি ব্যবহার করেই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন Kik। ভয়েস কল, গ্রুপ চ্যাট, স্টিকার, মিডিয়া শেয়ারিং থেকে শুরু করে WhatsApp যা যা অফার করে আপনি প্রায় সবকিছুই এখানেও পেয়ে যাবেন। বরং, এখানে আপনি বট এক্টিভ করে অটোমেটিক কুইজ এবং খবর জানতে পারবেন।
যদি আপনার পরিবার অথবা বন্ধু iPhone ইউজ করে, তাহলে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারন iMessage। Apple এর ইন-বিল্ট মেসেজিং অ্যাপ নতুন ফিচার আনতে রেগুলার আপডেট হয়। আপনি Memoji তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন, মেসেজ বাবেলগুলি এবং টেক্সটগুলিতে পার্সোনালাইজড এফেক্ট যোগ করতে পারেন।
WhatsApp এর রিপ্লেসমেন্টের জন্য আরও একটি ভালো অপশন হতে পারে Viber। অ্যাপটি WhatsApp এর মতই ভয়েস কলিং, ভিডিও কলিং ইত্যাদি ফিচারগুলি প্রোভাইড করে। এমনকি এটি আপনাকে নন-ভাইবার ইউজারদেরও নামমাত্র রেটে কল করতে দেয়। এটি মাল্টি-ডিভাইস সাপোর্টও করে।
আপনি এই সবকটি অ্যাপ নিজে ব্যবহার করে তারপর বেছে নিতে পারেন WhatsApp এর অল্টারনেট অপশন। যদি একটিও ভালো না লাগে তাহলে ফিরে যেতে পারেন পুরনো WhatsApp এই।